Tuesday, June 18, 2019

দিনাজপুরে লোহার খনি পেলেন বিশেষজ্ঞরা: মান অন্য যে কোন দেশের চেয়ে ভাল

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপর গ্রামে উন্নত মানের লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনির সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)। সেখানে ভূগর্ভের ১ হাজার ৭৫০ ফুট নিচে ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার একটি স্তর পাওয়া গেছে, যা দেশের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার বিষয়।
বাংলাদেশে প্রথম এই লোহার খনির সন্ধান পাওয়া গেল। খনি পেয়ে উত্তরের হাজারও মানুষ নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন । নতুন করে কর্মসংস্থন সৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার জিএসবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২ মাস ধরে কূপ খনন করে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। খননকাজে নিয়োজিত জিএসবির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম জানান, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে লোহার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে, সেসব খনির লোহার মান ৫০ শতাংশের নিচে। আর বাংলাদেশের লোহার ৬৫ শতাংশের উপরে। জয়পুরহাট বিসিএসআইআর পরীক্ষাগারে পরীক্ষায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। ইসবপুরে লোহার খনির সন্ধান বাংলাদেশে এটিই প্রথম, যার ব্যাপ্তী রয়েছে ৬-১০ স্কয়ার কিলোমিটার পর্যন্ত। এখানে কপার, নিকেল ও ক্রুমিয়ামেরও উপস্থিতি রয়েছে। ১,১৫০ ফুট গভীরতায় চুনাপাথরের সন্ধানও মিলেছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ২০১৩ সালে এই গ্রামের ৩ কিলোমিটার পূর্বে মুশিদপুর এলাকায় কূপ খনন করে খনিজ পদার্থের সন্ধান পেয়েছিল। সেই গবেষণার সূত্র ধরেই দীর্ঘ ৬ বছর পর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুর গ্রামে কূপ খনন শুরু করা হয়। এরপর ১,৩৮০-১,৫০০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত খননকালে সেখানে আশার আলো দেখতে পাওয়া যায়। এই খবর পেয়ে ২৬ মে জিএসবির মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে পরিদর্শনে আসেন।
তখন সাংবাদিকদের সু-খবর না দিলেও লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মহাপরিচালক। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টার ফলে ১,৭৫০ ফুট গভীরে খনন করে লোহার খনির সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে প্রায় ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার আকরিকের এই স্তরটি পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলে ৬০ কোটি বছর আগে সমুদ্র ছিল। সে কারণে এখানে জমাট বাঁধা আদী শীলার ভেতরে লোহার আকরিকের এ সন্ধান পাওয়া যায়।
উপজেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার পূর্বে ইসবপুর গ্রাম। এ গ্রামের কৃষক ইছাহাক আলীর কাছ থেকে ৫০ শতক জমি ৪ মাসের জন্য ৪৫ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে খনিজ পদার্থের অনুসন্ধানে কূপ খনন শুরু করে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর।
জিএসবির উপ-পরিচালক, (ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ার) মো. মাসুদ রানা জানান, গত ১৯ এপ্রিল থেকে ইসবপুর গ্রামে কূপ খনন শুরু করা হয়। ৩০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ একটি দল ৩ শিফটে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আমরা জানতে পারলাম, এখানে লোহার খনি পাওয়া গেছে। এখান থেকে লোহা উত্তোলন করা হলে, এখানকার মানুষদের জীবনমান পাল্টে যাবে। কর্মসংস্থান হবে এখানকার মানুষদের। দেশের জন্যও লাভজনক হবে। এমনই আশায় বুক বাঁধছেন এখানকার সর্বস্তরের মানুষ।

Monday, June 17, 2019

ইন্টারনেট দুনিয়ার লাখো মানুষকে কাঁদায় যে ছবি

মোটরসাইকেল গ্লাভসে মাথা রাখা সদ্যজাত একটি শিশুর ছবি সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে কাঁদিয়ে যাচ্ছে সেই ২০১৬ সাল থেকে।  শিশুটির হাসিমুখ বুঝিয়ে দিচ্ছে- মৃত বাবার স্পর্শে তার কচি হৃদয় যেন জেগে উঠেছে। হতভাগ্য শিশুটির নাম আউবেরি। ওর জন্মের মাত্র একমাস আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান পিতা হেক্টর ড্যানিয়েল ফেরের আলভারেজ। 
আমেরিকার ফ্লোরিডার পঁচিশ বছর বয়সী হেক্টর একসঙ্গে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে চেয়েছিলেন। সে জন্য স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর তার বহু শখের মোটরসাইকেল রাইডিং প্রায় বন্ধও করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য টেনে নিয়ে যায় আউবেরির জন্মের মাত্র একমাস আগে। ২০১৬ সালের এপ্রিলে বেদনাবিধুর স্মৃতি রেখে চলে যান হেক্টর।  
ওর ‍মৃত্যুর কিছুদিন পর বিখ্যাত ফটোগ্রাফার বন্ধু কিম স্টোন আউবেরির কিছু ছবি তোলেন। এসময় একটি ছবি তুলতে মৃত পিতার মোটরসাইকেলের হেলমেট পাশে রেখে তুলতুলে গ্লাভস মাথার নিচে রেখে দেন কিম স্টোন। মাত্র জন্ম নেয়া আউবেরি যেন ওই গ্লাভসে বাবার গন্ধ পায়। যেন সদ্যজাত শিশুকে ছুঁয়ে দেয় হেক্টর। স্বর্গীয় হাসিতে মেতে ওঠে আউবেরি। কিম স্টোনের সেই ছবি তার পর থেকেই সারা বিশ্বে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ছড়াতে থাকে। ছবিটি একপলক দেখে নিভৃতে দীর্ঘশ্বাস আর চোখের জল ফেলেন লাখ লাখ মানুষ। বিশেষ করে বাবা দিবস এলে এই ছবিটিই যেন থিম ছবি হয়ে দাঁড়ায়। 
কিম স্টোন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম যেমন ডেইলি মেইল ইউকে ও এবিসি নিউজকে বলেন 'তার বাবা  মোটর সাইকেল প্রেমী ছিলেন। তবে তিনি সবসময় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েই চালাতেন। তিনি নিশ্চিত যে তিনি নিরাপদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাকে ছাড়েনি। 
'তিনি তার বাগদত্তার সাথে বাইকের প্রতি তার প্রেম ভাগ করে নিয়েছিলেন এবং তাদের সম্পর্ক ছিল প্রেমান্ধ। তারা জীবনের সব পরিকল্পনা গুছিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই হলো না। 'এখন আউবেরি ও তার মা ক্যাথরিন হেক্টরের স্মৃতি বুকে বয়ে বেড়াবেন। হেক্টরের গ্লাভস আর হেলমেট ছুঁয়ে তার উপস্থিতি অনুভব করবেন। 
ছোটবেলা থেকেই মোটর সাইকেলে চড়ার শখ হেক্টরের। মোটর সাইকেলে ‍ঘুরতে গিয়েই খুঁজে পেয়েছেন জীবনসঙ্গীনী ক্যাথরিন উইলিয়ামসকে। বিয়ের পর মোটর সাইকেলে চড়েই ঘুরে বেড়িয়েছেন দুজনে। এর মাঝে সন্তান সম্ভবা হলেন ক্যাথরিন। স্ত্রী- সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে একা একাই মোটরবাইক চড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন হেক্টর। যতদিন তাঁর সন্তান বড় হবে না ততদিন মা–সন্তানকে নিয়ে মোটরবাইক চালাবেন না তিনি।
পরিবারকে দূঘর্টনার ঝুঁকিতে ফেলতে না চাওয়াতেই তার এই সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত, মেয়েকে নিয়ে আর মোটর সাইকেলে চড়া হলো না হেক্টরের। মেয়ের জন্মের মাত্র কয়েক দিন আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো তাঁর।

হেক্টরের মৃত্যু সংবাদ পেলেন তাঁর বন্ধু কিম স্টোন, বাচ্চাদের ছবি তোলায় যার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। কিম পৌঁছে গেলেন হেক্টরের বাড়ি। ছবি তুললেন, ঘুমিয়ে থাকা ছোট্ট মেয়ের। ক্যথরিন তার স্বামী হেক্টরের স্মৃতি বিজড়িত দুটো গ্লাভসের একটি রেখে দিলেন ঘুমন্ত শিশুর মাথার নিচে, আর একটি ছোট্টো শরীরের উপর। না দেখা বাবার স্মৃতি জড়িয়ে ঘুমের মাঝেই মুচকি হেসে উঠলো অবুঝ শিশুটি।
ক্যামেরার সাটার টিপে ধরলেন কিম স্টোন। ছবি তুলে এসে বললেন, লোকের মুখে শুনেছি ঈশ্বরের দূতের সঙ্গে দেখা হলে বাচ্চারা ঘুমের মধ্যে হাসে। এতদিন বিশ্বাস করিনি, এবার মনে হচ্ছে, কথাটা সত্যি।
হেক্টরের এই মর্মান্তিক ঘটনা বাইক চালকদের জন্য শিক্ষনীয়। প্লিজ আপনারাও নিরাপত্তা ও পরিবারের কথা ভেবে বাইক চালাবেন।
ছবি- কিম স্টোন
তথ্য- ডেইলি মেইল ও এবিসি নিউজ। 

অভিনন্দন টিম টাইগার: একের পর এক রেকর্ড করেই যাচ্ছেন সাকিব

অভিনন্দন সাকিব আল হাসান। অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ। আজকের খেলা দেখার পর মনে হয়েছে বিশ্বকাপ জিতে গেছি। শুভকামনা।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। এর আগে গত বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সোমবার ইংল্যান্ডের টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওশান থমাসকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ৮৩ বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন সাকিব। এর আগে গত শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০২তম ম্যাচে সাকিবের এটা নবম সেঞ্চুরি। তবে টেস্টের ৫৫ ম্যাচে দেশের হয়ে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়েই যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার অপূর্ণতা ছিল বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি।
গত শনিবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতরানের ম্যাজিক ফিগার গড়ার মধ্য দিয়ে সেই অপূর্ণতা ঘুচান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেদিন ইংলিশদের বিপক্ষে ১১৯ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় ১২১ রান করেন সাকিব। তার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে শেষ পর্যন্ত ২৮০ রান করে বাংলাদেশ।
সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব। উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে ৫২ রান করেন তারা। ২৩ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সৌম্য।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালের সঙ্গে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। রানের খাতা খুলতে না খুলতেই আউট হন মুশফিকুর রহিম। ১৯ ওভারে ১৩৩ রানে সৌম্য, তামিম, মুশফিকের বিদায়ের পর লিটনকে নিয়ে
দলের হাল ধরেন সাকিব।
চতুর্থ উইকেটে তাদের অনবদ্য জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। আর এই জুটিতেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।

Sunday, June 16, 2019

বেঁচে যাচ্ছে সেই বিদ্রোহী বালক: আন্তর্জাতিক চাপে পিছু হটলো সৌদি

সৌদি আরবের শিয়া অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে সুন্নিপন্থি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সে বিক্ষোভের অভিযোগে ১৩ বছর বয়সে গ্রেফতার হওয়া কিশোর মুর্তাজা কুরেইরিসকে মৃত্যুদণ্ডিত করার চিন্তা থেকে পিছু হটলো দেশটির কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার তোপে সৌদি ওই কিশোরকে ‘তার অপরাধের জন্য’ প্রাথমিকভাবে দেওয়া কারাভোগ শেষে ২০২২ সালেই মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করছে।
শনিবার (১৫ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন সৌদির সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘তাকে মৃত্যুদণ্ডিত করা হবে না।’ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদি সরকার এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে বিষয়টি বিচারাধীন বিধায় এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’র উত্তাল সময়ে সৌদি রাজতন্ত্রের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র দাবিতে গণবিক্ষোভকালে কুরেইরিস মাত্র ১০ বছর বয়সে তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সাইকেল রাইডে নেমেছিল। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিন বছর পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মুর্তাজাকে ১৩ বছর বয়সে গ্রেফতার করে রাজতন্ত্রের বাহিনী। সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হিসেবে মুর্তাজাকে নিক্ষেপ করা হয় কারাগারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৌদি আরবে ‘অপরাধের দায়’ দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমার বিষয়টি অস্পষ্ট হলেও সেখানকার রাজতন্ত্র বলে আসছিল এ বয়সসীমা ১২ বছর মানা হয়। এমনকি ‘দায়’ দেওয়ার বয়সের আগে কেউ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে সাজা দেওয়া হয় না। অথচ মুর্তাজার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগপত্র অনুসারে ‘অপরাধ সংঘঠিত করার সময়’ তার বয়স ছিল ১০ বছর। এমনকি মৃত্যুদণ্ড চেয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় মুর্তাজার ১৮ বছর বয়সে পদার্পণের কয়েক মাস আগে।
এ নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়ে সৌদির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তোলে। অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায় মুর্তাজাকে। এমনকি রিয়াদ কর্তৃপক্ষ মুর্তাজার মৃত্যুদণ্ড বাতিল না করলে অস্ট্রিয়ায় সৌদি অর্থায়নে পরিচালিত একটি ধর্মীয় আলোচনা কেন্দ্রও বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় ভিয়েনা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সৌদি সরকারের ওই কর্মকর্তা বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুর্তাজার বিষয়ে সেখানকার সরকারের বর্তমান অবস্থানের কথা জানান।

হেল প্লানেট COROT-7B: যেখানে হয় কাঁচ পাথরের বৃষ্টি

ধরে নিন- আপনি যে পৃথিবীতে আছেন তার দিনের তাপমাত্রা ২৬০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যার ভূ-অভ্যন্তরের তাপমাত্রা মোটামুটি ৪৭০০ ডিগ্রী! সেখানেও মেঘ জমছে, বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের পৃথিবীতে মাঝে মধ্যে ব্যাঙ, মাছ বা এসিড বৃষ্টির কথা শোনা যায়। কিন্তু সেই গ্রহে পাথরের মেঘ জমছে, বৃষ্টি পড়ছে পাথরের এমনকি উচ্চ তাপমাত্রায় গলিত পাথরের সিলিকা থেকে কাঁচ তৈরি হয়ে ঝরছে অঝোরে। সেই বৃষ্টি গিয়ে জমছে গলিত লাভার হ্রদে।
এ তো গেল বৃষ্টি! বাতাস তো থাকবেই এর সঙ্গে। আমরা যেখানে আছি- অর্থাৎ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বেগে ঝড় বা টর্নেডোর রেকর্ড হয়ত আমরা অনেকেই জানি। না জানলেও সমস্যা নেই, আমেরিকার ওকলাহামায় ১৯৯৯ সালে পৃথিবীর সব থেকে বেশি বেগে টর্নেডো হয়েছিল। সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ মাইল। এবার ভাবুন আপনি যে পাথুরে দুনিয়ায় আছেন সেখানে সাধারণত বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫৪০০ মাইল বা ৮৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দাঁড়ায়। যা শব্দের গতির থেকে সাতগুন বেশি। এ তো সাধারণ সময়ের বাতাস, ঝড়ের সময়? সর্বনাশ, ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। ঝড়ের সময় সেখানে বাতাসের বেগ দাঁড়ায় ঘন্টায় ২১৭৭৪ মাইল। আমাদের জানামতে মহাবিশ্বে এটাই সবচেয়ে বেশি বাতাসের গতিবেগ। যার গতিবেগ শব্দের গতির থেকে প্রায় ২৯ গুন বেশি। 

শুনতে অবাক লাগছে? অবিশ্বাসও হতে পারে অনেকের। এমন একটি গ্রহ ‘‘কোরট-৭বি’’ রয়েছে আমাদের গ্যালাক্সি বা সৌরজগতের একটু বাইরে। পৃথিবী থেকে সেখানে যদি আপনি যেতে চান, আলোর গতিতে গেলে সেখানে পৌঁছাতে লাগবে কমপক্ষে ৫৫০ থেকে ৬০০ বছর!! এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরে আবিস্কৃত প্রথম গ্রহ, যা দেখতে অনেকটা পৃথিবীর মতোই। ২০০৯ সালে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সিগুলো দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোরট স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এটি আবিস্কার করা হয়। গ্রহটি আকারে পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুন হলেও ভর পৃথিবীর প্রায় পাঁচগুন বেশি। গ্রহটি তার সূর্যের খুব কাছাকাছি অবস্থিত, যার দূরত্ব আনুমানিক ১.৬ মিলিয়ন মাইল। সেই গ্যালাক্সির সূর্যের এত কাছাকাছি থাকার কারনেই গ্রহটি এ যাবৎকালে আবিস্কৃত গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ও আবহাওয়া খুবই অন্যরকম বলে মনে করা হয়।  তাই অনেক শীতল পৃথিবীর বিপরীতে, COROT-7b এর বায়ুমণ্ডলে পরিচিত গ্যাস (কার্বন ডাই অক্সাইড, জল বাষ্প, নাইট্রোজেন) নেই বললেই চলে। এর পরিবর্তে সেখানকার বায়ুমন্ডলে শিলায় পরিপূর্ণ।
সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ব্রুস ফিগলি জুনিয়র বলেন, "এই বস্তুটি কেবলমাত্র লাভা লেক বা লাভা সমুদ্রের গরম গলিত সিলিকেটগুলি থেকে উদ্ভূত তরঙ্গ থেকে উৎপন্ন হয়।"
COROT-7b এর বায়ুমণ্ডলটি কেমন হতে পারে তা খুঁজে বের করতে, তার সহকর্মীরা Fegleyand এটিকে মডেল করেছিলেন। তারা দেখেছে যে COROT-7b এর বায়ুমণ্ডলগুলি পাথরের উপাদানগুলির থেকে তৈরি এবং যখন সামনের দিকে অগ্রসর হয়, তখন বায়ু থেকে বৃষ্টি ঝরে নীচের গলিত লাভাগুলির হ্রদে পতিত হয়।
"সোডিয়াম, পটাসিয়াম, সিলিকন মনোক্সাইড এবং তারপরে অক্সিজেন হয় কিনা পরমাণু বা আণবিক অক্সিজেন?" কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং লোহা যেমন অলঙ্কৃত শিলা পাওয়া অন্যান্য উপাদান ছোট পরিমাণে আছে।
শিলা বৃষ্টি পৃথিবীর পানির আবহাওয়ার অনুরূপ গঠন করে: "যখন আপনি উচ্চতর যান তখন বায়ুমন্ডলে শীতল হয়ে যায় এবং আপনি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পানির সাথে স্বাদুপ্রবাহের মতো বিভিন্ন ধরণের 'শিলা' দিয়ে সম্পৃক্ত হন।" একটি জল মেঘ গঠন এবং তারপর বৃষ্টিপাত, একটি 'শিলা মেঘ' গঠন করে এবং এটি বিভিন্ন ধরনের শিলা ছোট কাঁটার বৃষ্টি শুরু। "
এক্সপ্ল্যানেট এ অ্যাসেনস্টাইট, কর্ডডাম, স্পিনেল এবং উইলস্টোনাইট খনিজ পাওয়া যেতে পারে। সেখানে মৌলিক সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম, যা পাথরের তুলনায় খুব হলেও মেঘে মিশে যায় এবং উচ্চ তাপমাত্রাযুক্ত উজ্জ্বল কমলা মেঘ তৈরি করে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা অবজারভেটরির ড. ডিডিয়ার কোয়েলজ এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, এই আবিস্কারটি রোমাঞ্চকর এবং আশ্চর্যজনক। 
ইউরোপীয় দক্ষিণ ওষুধের লা সিলা ওয়েবসার্টারিতে উচ্চ নির্ভুলতা রেডিয়াল-ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার (HARPS) যন্ত্র দ্বারা সংগৃহীত নতুন ডেটা থেকে এই মানগুলি নির্ধারণ করা হয়েছে। 
COROT-7b তার তারকায় প্রতি ঘন্টায় ৭ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার গতির সূর্যকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। যার ঘূর্ণনগতি সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর গতির তুলনায় সাতগুণ বেশি। যা প্রতি ১৭ ঘন্টায় তার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
বিজ্ঞানীরা এখনো গ্রহটিকে নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন। মানুষের পক্ষে কোন একদিন হয়তো এই মহাবিশ্ব ছাড়িয়ে অন্য সৌরজগতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু এই মুহুর্তে ৫শ আলোকবর্ষ দূরের কোন গ্রহে যাওয়ার চিন্তাও করার কোন অবকাশ নেই, কারন এই মুহুর্তে পৃথিবী থেকে ওই গ্রহের কাছাকাছি পৌঁছাতে মানুষকে প্রায় অমর হতে হবে, যা কল্পনাতীত।  
সূত্র- ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, গুগল, ইউটিউব।

Saturday, June 15, 2019

আর নয় অপারেশন- এবার ড্রপেই সারবে ছানি

আমেরিকার গবেষকরা একটি নতুন ড্রপ তৈরি করেছেন যা মানুষের চোখে অন্ধত্বের প্রধান কারণ ছানিকে অপসারণ করে। এটি ড্রপারের মাধ্যমে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়। এর ফলে অপারেশন ছাড়াই ছানি থেকে মুক্তি পাবেন পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ।
নতুন এই ড্রপটি বিশ্বের কোন কোন দেশে সীমিত আকারে প্রয়োগ করে ফল পাওয়া গেছে। তুরস্কের আঙ্কারার বিখ্যাত চক্ষু হাসপাতাল ড. খলিল আই ক্লিনিক তাদের ওয়েবসাইটে এই ড্রপের মাধ্যমে চিকিৎসার ঘোষণাও দিয়েছে। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান ডিয়েগো দলের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল হয়। চিকিৎসক এবং রোগী উভয়েই নতুন এই আবিস্কারে খুশি। কারন ছানির অস্ত্রোপচার ব্যয়বহুল এবং যন্ত্রণাদায়কও বটে। নতুন ড্রপ আবিস্কারের ফলে মানুষের চিকিৎসা ব্যয় যেমন কমবে, তেমনিভাবে যন্ত্রণারও অবসান হবে।
ছানি বা ক্যাটারাক্ট সারা বিশ্বে খুব সাধারণ একটি রোগ। বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের চোখে ছত্রাক সংক্রমণের ফলে লেন্স ক্রমশ ঘোলা হয়ে ছানি পড়ে এবং অকাল অন্ধত্ব ডেকে আনে। যখন আমাদের চোখের লেন্সের ক্রিস্টালিন প্রোটিনগুলির গঠন হ্রাস পায়, তখন ক্ষতিগ্রস্ত বা অসংগঠিত প্রোটিনগুলি ঝাপসা হয়ে যায় এবং একটি মিল্কি নীল বা বাদামী স্তর তৈরি করে। যদিও ছত্রাক এক চোখের থেকে অন্য দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে না, তবে উভয় চোখেই তারা স্বাধীনভাবে সংক্রমণ ঘটতে পারে।আমেরিকার ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ৪০ বছর বয়সী আমেরিকানদের অর্ধেকেরও বেশির চোখে ক্যাটারাক্ট সার্জারি আছে। 
ফ্রেড হোলস ফাউন্ডেশনের মতে, বিশ্বের প্রায় ৩২.৪ মিলিয়ন মানুষ আজ ছানির কারনে অন্ধ, এবং তাদের বেশিরভাগই উন্নয়নশীল দেশে বাস করে।
নতুন ড্রপ একটি প্রাকৃতিক স্টেরয়েড এর উপর ভিত্তি করে তৈরি যাকে lanosterol বলা হয়। ছত্রাকের উপর লানোস্টেরলের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার ধারণাটি গবেষকদের কাছে আসে যখন তারা চীনের দুই সন্তানের বিষয়ে জানতে পারে, যারা ছত্রাকের কারনে এটি জন্মগতভাবে পেয়েছিল। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে এই ভাইবোনেরা একটি মিউটেশন ভাগ করেছে যা লানোস্টেরলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে, যা তাদের পিতামাতার অভাব রয়েছে। তাই বাবা-মা যদি ল্যানোস্টেরল তৈরি করে এবং থেকে না যায় তবে তাদের সন্তান লানোস্টেরল উৎপাদন করে না এবং ক্যাটারাক্ট হয়না। গবেষকরা বলছেন যে, স্টেরয়েড ত্রুটিযুক্ত স্ফটিক প্রোটিনগুলিকে একত্রিত হতে এবং ছত্রাক গঠন করতে বাধা দেয়।
তারা তিন ধরনের পরীক্ষায় তাদের লানোস্টেরল ভিত্তিক চোখের ড্রপ পরীক্ষা করে। তারা ল্যাবে মানব লেন্স দিয়ে কাজ করে এবং ছানির আকার কমতে দেখেছে। এরপর তারা খরগোশের উপর প্রভাব পরীক্ষা করে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে খু্ব ভাল ফল পায়। 
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) এর আণবিক জীববিজ্ঞানী জোনাথন কিং বলেন, "এটি একটি সত্যিই ব্যাপক এবং আকর্ষক আবিস্কার।” 
Source- Internet

Friday, June 14, 2019

মধ্যপ্রাচ্যে আসছে ইতিহাসের ভয়াবহ তাপদাহ-কুয়েতের তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৬৮ ডিগ্রী

কুয়েতের তাপমাত্রা এবার ৬৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে বলে আশংকা করছেন আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে গেল ৮ জুন বিশ্বের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে কুয়েত সিটি। সেদিন কুয়েত শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। একই সময়ে ছায়ায় তাপমাত্রা ছিল ৫২.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। একই দিন সৌদি আরবের আল মাজমাহ শহরের তাপমাত্রা ছিল ৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। 
এর আগে ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ফার্নেস ক্রিক র‌্যাঞ্চে ডেখ ভ্যালিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস মাপা হয়েছিল। অবশ্য আবহাওয়া এবং জলবায়ু রেকর্ডের দাবিগুলি প্রায়শই জাতিসংঘ সংস্থা বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লুএমও) দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২২-এ এল আজিজিয়া, লিবিয়া ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করার দাবি করলেও পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়। 
একই রেকর্ডে কুয়েত ২১ জুলাই ২০১৬ এবং পাকিস্তানের তুরবাত এ ২০১৭ সালের মে মাসের শেষের দিকে আলাদাভাবে ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ মাপা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯ মে ২০১৬ তারিখে রাজস্থানের ফালোদিতে এই তাপ ছিল

এদিকে গালফ নিউজের বরাতে জানা যায়, কুয়েতে চরম তাপপ্রবাহের মধ্যে গত বুধবার (১২ জুন) এক ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ওই ব্যক্তি মারা যান। তীব্র রোদের কারণে তিনি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।
কুয়েত ও সৌদি আরবে এ তীব্র তাপপ্রবাহ এত শিগগিরই শেষ হচ্ছে না। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, কুয়েতের গ্রীষ্মকাল এবার বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে। এর মধ্যে, জুলাইয়ে সেখানকার তাপমাত্রা ৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আরবের আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, কাতার, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও আঘাত হানবে এ তাপপ্রবাহ। গত ৭ জুন ইরাকের মেসান প্রদেশে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হযেছে ৫৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 গত সোমবার (১০ জুন) একই ধরনের তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে ভারতও। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট এল ডোরাডোর তথ্যমতে, ওই দিন বিশ্বের উষ্ণতম ১৫টি জায়গার মধ্যে আটটি ছিল ভারতে, বাকিগুলো ছিল পাশের দেশ পাকিস্তানে।
ভারতের আবহওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার (১০ জুন) রাজস্থানের চুরু শহরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূত্র ও ছবি- গালফ নিউজ, স্কাই মিট ওয়েদার ও গুগল।

দিনাজপুরে লোহার খনি পেলেন বিশেষজ্ঞরা: মান অন্য যে কোন দেশের চেয়ে ভাল

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ইসবপর গ্রামে উন্নত মানের লোহার আকরিকের (ম্যাগনেটাইট) খনির সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ...